1. শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সিতারা-ই-ইমতিয়াজ খেতাবে ভূষিত হন কোন সাহিত্যিক?
• কাজী মোতাহার হোসেন:
- কাজী মোতাহার হোসেন (১৮৯৭-১৯৮১) ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী এবং সাহিত্যিক।
- ‘শিখা' পত্রিকার মুখপত্র হিসেবে কাজ করেছেন।
- তিনি ঢাকায় ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ' প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছেন।
- 'বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন' এর সাথে যুক্ত ছিলেন কাজী মোতাহার হোসেন।
- কাজী আবদুল ওদুদ, সৈয়দ আবুল হুসেন, আবুল ফজল প্রমুখের সহযোগিতায় ১৯২৬ সালে তিনি ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন। কাজী মোতাহার হোসেন অল্প কিছুকাল উক্ত সংগঠনের মুখপত্র শিখা পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
- অধ্যাপক হোসেন শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬০ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’ খেতাবে ভূষিত হন।
তাঁর উলেখযোগ্য প্রকাশনাসমূহ হচ্ছে:
- সঞ্চয়ন,
- নজরুল কাব্য পরিচিত,
- সে পথ লক্ষ্য কর,
- সিম্পোজিয়াম গণিত শাস্ত্রের ইতিহা,
- আলোক বিজ্ঞান।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।
2. হাসান আজিজুল হক রচিত সম্পাদনা গ্রন্থ কোনটি?
• অসীমান্তিক:
- বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপূর্ব ভারতের মোট একষট্টি গল্পের সমাহারে হাসান আজিজুল হকের সম্পাদনায় 'অসীমান্তিক' বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ সালে।
- এই গ্রন্থে প্রকাশিত গল্প থেকে উঠে আসে তিনটি অঞ্চলের জীবনের পরিপূর্ণ দিক, যা পাঠকের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের উৎস।
- এই গ্রন্থে ওই তিন অঞ্চলের গল্পের সমকালীন ধারাও স্পষ্ট হয়।
-------------------------- • হাসান আজিজুল হক:
- তিনি মূলত কথাসাহিত্যিক হিসেবে পরিচিত।
- তিনি ১৯৩৯ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি, যবগ্রাম, বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন।
- ১৯৬০ সাল থেকে লেখক হিসেবে নিজেকে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সক্রিয় সাহিত্যচর্চার আরম্ভ।
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনশাস্ত্র বিভাগে অধ্যাপনা শেষে তিনি অবসর নিয়েছেন।
- তিনি আদমজি সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আলাওল পুরস্কার, অগ্রণী পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার লাভ করেন।
- তাঁর গল্প ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু, রুশ ও চেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
• তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থ:
- আত্মজা ও একটি করবী গাছ,
- জীবন ঘষে আগুন,
- নামহীন গোত্রহীন,
- পাতালে হাসপাতালে,
- আমরা অপেক্ষা করছি,
- রোদে যাবো,
- মা-মেয়ের সংসার,
- নির্বাচিত গল্প,
- রাঢ়বঙ্গের গল্প।
হাসান আজিজুল হক রচিত উপন্যাস:
- আগুনপাখি,
- সাবিত্রী উপাখ্যান,
- শিউলি,
- বৃত্তায়ন ইত্যাদি।
• তাঁর রচিত সম্পাদনা:
- অসীমান্তিক।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।
3. তপু ও রেণু চরিত্রদুটি কোন গল্পের অন্তর্ভুক্ত?
• একুশের গল্প:
- জহির রায়হানের বিখ্যাত সাহিত্যকর্মের মধ্যে একুশের গল্প অন্যতম।
- ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রচিত এই গল্পের প্রধান চরিত্র: তপু ,রেণু ও রাহাত।
- এই গল্পটি জহির রায়হান রচনাবলি ২য় খণ্ড থেকে চয়িত হয়েছে।
এই গল্পের মূলকথা হচ্ছে-
- ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের এক উদ্দাম হৃদয়বান, প্রাণবন্ত তরুণ শহিদ হয়। কিন্তু পুলিশ সেই লাশ গুম করে ফেলে।
- তাঁর কঙ্কাল মেডিক্যাল কলেজে পড়ুয়া এক বন্ধু আবিষ্কার করে।
গল্পটিতে ব্যবহৃত কিছু সংলাপ হলো:
• 'এ পথের যদি শেষ না হতো কোনোদিন। অনন্তকাল ধরে এমনি চলতে পারতাম আমরা।'- অংশটি একুশের গল্পের অন্তর্গত।
• ‘ওই যে লোকটা বলছিল সে বার্নাডশ হবে, পরশু রাতে মারা গেছে। - সংলাপটি জহির রায়হান রচিত একুশের গল্প থেকে নেয়া হয়েছে।
• “পলকহীন চোখজোড়া দিয়ে অশ্রুর ফোয়ারা নেমেছিলো তার।”
---------------------- • জহির রায়হান:
- তিনি ১৯৩৫ সালে ফেনি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
- জহির রায়হান ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি কথাশিল্পী এবং চলচ্চিত্র পরিচালক।
- জহির রায়হানের প্রকৃত নাম- মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।
- জহির রায়হান সৃষ্টি প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র ‘সঙ্গম’।
- তাঁর পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘কখনো আসে নি’।
- তাঁর সৃষ্ট প্রথম সিনেমাস্কোপ ছবি ‘বাহানা’।
- তাঁর সৃষ্ট 'কাঁচের দেয়াল' চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে নিগার পুরস্কার লাভ করে।
জহির রায়হান রচিত উপন্যাস:
- হাজার বছর ধরে,
- বরফ গলা নদী,
- আর কতদিন,
- তৃষ্ণা,
- শেষ বিকেলের মেয়ে,
- কয়েকটি মৃত্যু।
উৎস: বাংলাপিডিয়া; বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলা সাহিত্যপাঠ, বাংলাপিডিয়া।